JICAインターン生が取材しました!長期研修員の魅力②
2024.08.28
長期研修課では、2024年JICAインターシップ・プログラムに参加している日本の大学・大学院生を受け入れています。インターン生6人による開発途上国から来日している留学生へのインタビューを順次お届けします。
ハック・アデリータ・ハリマ(バングラデシュ出身 / 武蔵野大学 グローバルビジネス学科 2年)
バングラデシュ出身のシハブさんは、現在、世界で最も権威のある機関の一つ、東京大学で博士号取得を目指して勉強している。シハブさんの物語は、単なる学業の成功だけでなく、学びに対する愛情、国に対する責任感、そして未来のバングラデシュを築くための絶え間ない努力の象徴でもある。
写真:研究およびフィールド/Research and fieldwork/গবেষণা এবং ফিল্ডওয়ার্ক এর ছবি
シハブさんが農業分野を選んだのは、学び、教え、そして国の発展に貢献するための無限の可能性がここにあると考えたからである。「バングラデシュの農業の現代化には、熟練した研究者が必要不可欠。自分は常にバングラデシュ農業大学の教員になりたいと思ってきた。なぜなら、研究を通じて農業の発展に寄与できるからである」とシハブさんは述べる。学生時代から、彼は物事を分かりやすく説明し、理解させるのが得意だった。友人や後輩たちは彼の能力を頼りにし、助言を求めて彼のもとに集まっていた。しかし、シハブさんの旅は教室を超え、日本の研究室とフィールドにまで及び、そこで彼は現代農業技術の知識とスキルを習得しており、これを将来バングラデシュに戻って研究に活かす予定である。
SATREPS(持続可能な発展のための科学技術研究パートナーシップ)とJICA(国際協力機構)との協力により、シハブさんは植物科学の最新のトレーニングを受ける機会を得た。「JICAはバングラデシュに先端技術の研究所を設立している。その未来の研究活動を推進するため、自分は日本で研修を受けている。ここで習得しているスキルは、その研究活動を成功させるために不可欠である」とシハブさんは説明する。これは単なる個人的な成長のためではなく、バングラデシュ農業大学の次世代の学生のために、研究に基づいた知識を深めるための試みでもある。
日本での時間は、シハブさんにとって大きな学びの経験となっている。バングラデシュでは土壌科学を学んでいたが、ここでは分子遺伝学に取り組んでおり、これは彼にとって全く新しい分野である。「毎日、新しいことを学んでいる。バングラデシュに戻ったら、さらに多くの人に教えることができる」とシハブさんは言う。彼は、研究のためには強力な個人的ネットワークを築くことが非常に重要だと信じている。「いつか自分の学生たちがバングラデシュ全土で活動し、政府の農業関連の役人になることもあるだろう。もし私が大きなプロジェクトを始める時には、彼らが一緒にいて、現場でプロジェクトを実施する手助けをしてくれるだろう」とシハブさんは付け加える。
シハブさんの研究は、バングラデシュの農業に大きな変革をもたらす可能性がある。彼は、ヒ素とカドミウムの含有量が低く、亜鉛と鉄分に富んだ米の品種の開発を目指して取り組んでいる。この革新が成功すれば、ヒ素中毒の発症率を減らすだけでなく、バングラデシュの食料安全保障と公衆衛生においても非常に大きな影響を与えることになる。「米はバングラデシュの主要な食料品である。バングラデシュの人々は、米を通じて亜鉛と鉄分の欠乏を補い、ヒ素やカドミウムなどの有害物質の摂取を減らすことができ、これは公衆衛生の向上において画期的な成果となるだろう」とシハブさんは述べる。
バングラデシュに帰国後、シハブさんは助教として大学に参加する予定である。彼は自分の研究を共有し、次世代の研究者を指導するつもりだ。「自分が習得した知識を学生たちに教え、JICAが設立した研究所の目的を実現するために努力する」とシハブさんは明確に述べる。シハブさんのバングラデシュから日本へのこの旅は、学び、忍耐、そしてより良い国を築くために知識とスキルを活用しようとする強い意欲の例である。自分の知識とスキルを活かして未来を築こうとする人々にとって、この物語は大きな励みとなるだろう。
コース名:SATREPS・2022(イネにおける元素の分子構造の解明)・東京大学大学院(博士)
東京大学 大学院 農学生命科学研究科 応用生命化学専攻植物栄養・肥料学研究室
指導教員:准教授 神谷岳洋
Mr. Shihab Uddin who hails from Bangladesh, is currently pursuing his Ph.D. at the University of Tokyo, one of the world's most prestigious institutions. His story is not just about academic success but also reflects his love for learning, his commitment to his country, and his relentless effort to build a brighter future for Bangladesh.
Mr. Shihab chose the field of agriculture because it offers immense opportunities for learning, teaching, and contributing to the nation's development. "There is a great need for skilled researchers in the modernization of Bangladesh's agriculture. I have always wanted to be a teacher at the Bangladesh Agricultural University because it is a suitable profession for contributing to agricultural development through research," he notes. Even during his student life, he was adept at explaining and making others understand concepts clearly. Friends and juniors relied on his expertise and sought his advice. However, Mr. Shihab's journey has taken him beyond the classroom, into the labs and fields of Japan, where he is gaining knowledge and skills in modern agricultural technology, which he plans to apply in Bangladesh through his research.
With a scholarship awarded through the collaboration of SATREPS (Science and Technology Research Partnership for Sustainable Development) and JICA (Japan International Cooperation Agency), Mr. Shihab has had the opportunity to receive cutting-edge training in plant science. "JICA is establishing an advanced technology lab in Bangladesh. To manage future research activities there, I am undergoing training in Japan. The skills I am acquiring here are essential for running those research operations," Mr. Shihab explains. This is not just about personal growth; it is an effort to enhance research-based knowledge for the next generation of students at Bangladesh Agricultural University.
The time spent in Japan has been a significant learning experience for Mr. He studied soil science in Bangladesh but is working on molecular genetics—an entirely new field. "I learn something new every day. When I return to Bangladesh, I will be able to teach many more people," he says. He believes that building a solid personal network is crucial for research. "One day, my students will be working across Bangladesh, and some may even become government officials in agricultural sectors. If I ever want to start a major project, they will stand by me and assist in implementing it on the ground," he adds.
Mr. Shihab's research could bring significant changes to agriculture in Bangladesh. He is working on developing a rice variety with low levels of arsenic and cadmium, enriched with zinc and iron. If successful, this innovation will not only help reduce the incidence of arsenic-related diseases but also positively impact on Bangladesh's food security and public health. "Rice is the staple food in Bangladesh. People will be able to meet their zinc and iron needs through rice while reducing their intake of toxic elements like arsenic and cadmium, making it a milestone for public health," Mr. Shihab mentions.
After returning to Bangladesh, Mr. Shihab plans to join the university as an Assistant Professor. He will share his research and train the next generation of researchers. "I will teach my students the knowledge I have acquired, and I will strive to fulfill the purpose for which JICA established the lab," he says clearly. Mr.Shihab’s journey from Bangladesh to Japan is a testament to the power of education, perseverance, and the desire to make a difference. His story inspires anyone who dreams of using their knowledge and skills to create a better world.
Course name: SATREPS, 2022 (Elucidation of the molecular structure of elements in rice), The University of Tokyo (PhD)
・Laboratory of Plant Nutrition and Fertiliser Science, Department of Applied Biosciences, Graduate School of Agricultural and Life Sciences, The University of Tokyo
・Supervisor: Associate Professor Takehiro Kamiya
・Mr UDDIN Shihab (Bangladesh)
বাংলাদেশ থেকে আসা জনাব শিহাব উদ্দিন বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির জন্য অধ্যয়ন করছেন। জনাব শিহাবের গল্প শুধুমাত্র একাডেমিক সফলতারই নয়, বরং শেখার প্রতি তার ভালোবাসা, দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা, এবং ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রমের প্রতিচ্ছবি।
জনাব শিহাব কৃষি ক্ষেত্রকে বেছে নিয়েছেন কারণ এখানে শেখার, শেখানোর,এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। "“বাংলাদেশে কৃষির আধুনিকায়নে দক্ষ গবেষকের একান্ত প্রয়োজন । আমি সব সময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হতে চেয়েছি কারণ গবেষণার মাধ্যমে কৃষির উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য এটি একটি উপযুক্ত পেশা”, তিনি উল্লেখ করেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি ভালো বুঝাতেন এবং বুঝাতে পারতেন। বন্ধু ও অনুজরা তার দক্ষতার উপর নির্ভর করতেন এবং পরামর্শের জন্য তার কাছে আসতেন। তবে জনাব শিহাবের যাত্রা তাকে ক্লাসরুমের গণ্ডি পেরিয়ে জাপানের ল্যাব ও মাঠে নিয়ে গেছে, যেখানে তিনি আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করছেন, যা পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশে গিয়ে গবেষণার মাধ্যমে প্রয়োগ করবেন ।
SATREPS (টেকসই উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা অংশীদারিত্ব) এবং জাইকা (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) এর সহযোগিতায় প্রাপ্ত বৃত্তির মাধ্যমে জনাব শিহাব উদ্ভিদ বিজ্ঞানে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। "জাইকা বাংলাদেশে উন্নত প্রযুক্তির একটি ল্যাব স্থাপন করছে। সেই ভবিষ্যৎ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমাকে জাপানে প্রশিক্ষণ নিতে হচ্ছে। আমি এখানে ল্যাবের যে দক্ষতা অর্জন করছি, তা সেই ল্যাবের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনস্বীকার্য ," জনাব শিহাব ব্যাখ্যা করেন। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত বৃদ্ধির বিষয় নয়; বরং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা নির্ভর জ্ঞান বৃদ্ধির একটি প্রচেষ্টা।
জাপানে কাটানো সময় জনাব শিহাবের জন্য একটি বড় শেখার অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশে তিনি মৃত্তিকা বিজ্ঞানে পড়াশোনা করছিলেন, আর এখানে এসে মলিকুলার জেনেটিক্স নিয়ে কাজ করছেন—যা তার জন্য পুরোপুরি নতুন একটি ক্ষেত্র। "প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখছি। আমি দেশে ফিরে গিয়ে আরও অনেককে শেখাতে পারবো," তিনি বলেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, গবেষণার জন্য শক্তিশালী ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক গড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। "আমার ছাত্ররা একদিন বাংলাদেশ জুড়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে, কেউ কেউ কৃষি বিষয়ক সরকারি অফিসারও হবে। যদি কোনো দিন বড় কোনো প্রকল্প শুরু করতে চাই, তারা আমার সাথে থাকবে,এবং মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করবে" তিনি যোগ করেন।
জনাব শিহাবের গবেষণা বাংলাদেশের কৃষিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে। তিনি এমন একটি ধানের জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে কাজ করছেন, যার আর্সেনিক ও ক্যাডমিয়ামের মাত্রা কম এবং জিঙ্ক ও আয়রনে সমৃদ্ধ। এই উদ্ভাবন সফল হলে, এটি আর্সেনিকজনিত রোগের হার হ্রাসে সহায়ক হবে এবং বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। "ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। বাংলাদেশের মানুষ ভাতের মাধ্যমে জিংক ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে পারবে এবং আর্সেনিক ও ক্যাডমিয়ামের মতো বিষাক্ত উপাদান কম গ্রহণ করবে, যা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে ," জনাব শিহাব উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পর, জনাব শিহাব সহকারী অধ্যাপক হিসেবেবিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করবেন। তিনি তার গবেষণা শেয়ার করবেন এবং পরবর্তী প্রজন্মের গবেষকদের প্রশিক্ষণ দিবেন। "আমি আমার অর্জিত জ্ঞান সম্পর্কে আমার ছাত্রদের শেখাব, এবং জাইকা যে উদ্দেশ্যে ল্যাবরটি তৈরি করে দিয়েছে, তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব," তিনি পরিষ্কার করে বলেন।জনাব শিহাবের বাংলাদেশ থেকে জাপান পর্যন্ত এই যাত্রা শিক্ষা, ধৈর্য্য, এবং একটি ভালো দেশ বিনির্মানে জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগানোর তীব্র আকাঙ্খার উদাহরণ। যারা নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ গড়তে চায়, তাদের জন্য এই গল্পটি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
・Course Title: SATREPS, 2022 (Elucidation of the Molecular Mechanisms of Arsenic Transport in Rice)
・বিশ্ববিদ্যালয়: টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় (ডক্টরেট)
・ল্যাবরেটরি: ল্যাবরেটরি অফ প্লান্ট নিউট্রিশন এন্ড ফার্টিলাইজার্স
・তত্ত্বাবধায়ক: সহযোগী অধ্যাপক তাকেহিরো কামিয়া
・গবেষক: মি. শিহাব উদ্দিন (বাংলাদেশ)
scroll